ঢাকা: বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে বেড়েছে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের প্রবণতা। লাভের আশায় ক্লিনিকগুলো মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে মা ও নবজাতকদের। এসব ক্লিনিকের ফাঁদে পড়ে সিজারে বাধ্য হচ্ছেন মায়েরা। এতে যেমন বাড়তি খরচ হচ্ছে তেমনি নানা ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছেন মা ও নবজাতক। এক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকদের কঠোর জবাবদিহিতার মধ্যে আনার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
বিশেষ করে বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে অনেক ক্ষেত্রেই অপ্রয়োজনে সিজারের দিকে মায়েদের প্ররোচিত করছেন কর্তৃপক্ষ। এতে পরবর্তীতে বাধ্যতামূলকভাবে অস্ত্রপচারের পাশাপাশি অর্থের ক্ষতি ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন মা ও সন্তানেরা।
হাসপাতালগুলোকে কঠোর জবাবদিহিতার আওতায় আনার পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারের লাগাম টেনে ধরতে চিকিৎসকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সমস্যা সমাধানে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদে প্রায় সাড়ে তিন হাজার নার্সকে ধাত্রীবিদ্যার ওপর বিশেষভাবে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে বলে দাবি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।
নতুন সন্তানের আগমনের অপেক্ষায় প্রহর গুনছিল বাবা মা। রাজধানীর মাতুয়াইল মেডি কেয়ার হাসপাতালে সিজারিয়ানের ভুল অস্ত্রোপচারে ক্ষত বিক্ষত হয়ে মৃত্যু হয় হতভাগ্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রেজাউল করিমের সন্তান।
এ বছরের জুলাইয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই সিজারের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে গিয়ে মা সায়মা কে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেন চিকিৎসক।
জাতীয় স্বাস্থ্য বুলেটিনের সবশেষ জরিপে দেখা যায়, এক বছরের ব্যবধানে সরকারি হাসপাতালে কমেছে প্রসূতি রোগী ভর্তির সংখ্যা। বেসরকারি হাসপাতালে এ সংখ্যা বাড়লেও কমেছে স্বাভাবিক প্রসব আর ব্যাপকভাবে বেড়েছে সিজারিয়ানের মাধ্যমে প্রসবের সংখ্যা। তাই স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে মায়েদের সচেতন করার পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার ঠেকাতে সরকারকে কঠোর হওয়ার পরামর্শ চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের।
পাঠকের মতামত